শিশু কোডারদের হাত ধরে ভারত হয়ে উঠছে অনলাইন শিক্ষার পথিকৃৎ

0

শিবাঙ্ক পাতিল এক বছর ধরে সফটওয়্যারের কোড লেখা শিখছে। এরই মধ্যে পথশিশুদের খাবার দেয়ার জন্য একটি অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করেছে সে। এখন এমন একটি অ্যাপ্লিকেশন তৈরির কাজ করছে, যেটি নির্ধারিত সময়ের আগে জন্ম নেয়া (প্রিম্যাচিউর্ড) শিশুদের দেখভাল করতে চিকিত্সকদের সহায়তা করবে। ভারতের নয়দিল্লিতে বসবাস করা শিবাঙ্কের বয়স মাত্র ৯ বছর।

করোনাভাইরাস মহামারী শিক্ষাব্যবস্থাকে অনলাইনে ঠেলে দেয়ার আগেই ভারতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য অনলাইনে কোডিং ক্লাস শুরু হয়েছিল। তবে কিছু অভিভাবক প্রোগ্রামিং জ্ঞান ও পাটিগণিতের মতো বিষয়ের গুরুত্ব অনুধাবন এবং মহামারীর সময় শিশুদের পড়াশোনা নিয়ে অভিভাবকদের উদ্বেগের মধ্যে কোডিং ক্লাসের চাহিদা আকাশচুম্বি হয়ে গেছে। এই শিশু কোডাররাই একদিন ভারতে তথ্য-প্রযুক্তির বিপ্লব ঘটাবে বলে আশা করছেন অনেকে।

ই-লার্নিংয়ে ভারত একাধিক পরীক্ষণের জন্য একটি উর্বরভূমি। এক্ষেত্রে অগ্রভাবে রয়েছে বেঙ্গালুরুভিত্তিক সংস্থা বাইজুস ( Byju’s)। সংস্থাটি গণিত, বিজ্ঞান, মানবিক ও ভাষা বিষয়ে অনলাইনে প্রশিক্ষণ উপকরণ সরবরাহ করে। ফেসবুকের সহপ্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ ও তার স্ত্রী প্রিসিলা চ্যান ও অন্যান্য বিনিয়োগকারীদের উদ্যোগে বাইজুস প্রতিষ্ঠিত হয়। ১১ বিলিয়ন ডলারের এক কোম্পানি শিক্ষাপ্রযুক্তিতে বিশ্বের বৃহত্তম স্টার্টআপ।

ভারতে অবস্থিত রেডসিয়ার ম্যানেজমেন্ট কনসালটিংয়ের পরামর্শক অভিষেক গুপ্ত বলেন, ভারত থেকে পরবর্তী বড় রফতানির বিষয় হবে কোডিং জ্ঞান।

গত আগস্টে বাইজুস কোডিং স্টার্টআপ হোয়াইটহ্যাট জুনিয়র ৩০ কোটি ডলারে অধিগ্রহণ করেছে। মুম্বাই ভিত্তিক সংস্থাটির ১ লাখ ২০ হাজার পেয়িং ব্যবহারকারী রয়েছে। তাদের মধ্যে অর্ধেকই ভারতের বাইরের তথা যুক্তরাষ্ট্রের। সংস্থাটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা করণ বাজাজের মতে, যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়ায়ও কোডিং ক্লাসের চাহিদা বাড়ছে। আসলে পুরো বিশ্বই লাইভ-কোডিং শিক্ষার বাজার।

২০১৮ সালে করণ বাজাজ হোয়াইটহ্যাট জুনিয়র প্রতিষ্ঠা করেন। আগে শিশুদের কোডিং শিক্ষা কেবল যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপে বহুল প্রচলিত ছিল। যদিও ভারতে এটি প্রায় অস্তিত্বহীন ছিল। প্রক্টর ও গ্যাম্বল কোং ও ডিসকভারি চ্যানেলের মতো সংস্থাগুলোতে নির্বাহী পদে প্রায় দুই দশক কাজ করার পর করণ বাজাজ এমন প্রতিষ্ঠান খোলার জন্য মনস্থির করেন।

উত্তর দিন