আইরিশম্যান থেকে বন্ড—সিনেমার দৈর্ঘ্য বাড়ছে যে কারণে

0

ক্রিস্টোফার নোলানের টেনেট দেখার মাঝপথে আমি সিটে নড়েচড়ে বসি। আরো ২০ মিনিট পর হাত দুটো আটকে রাখতে হলো যেন ফোন হাতে না নিতে পারি। ছবি যখন ১৫০ মিনিটে তখন মনে হচ্ছিল ছবিটা শুধু লম্বা না বরং এ ছবি যেন কখনো শেষ হবে না। তবে নোলানই যে একমাত্র ছবির দৈর্ঘ্য বৃদ্ধি করছেন তেমনটা নয়। আরো অনেক নির্মাতা, পডকাস্টার, লেখক, নাট্যকার—সবাই তাদের কাজ দীর্ঘ করছেন। টারান্টিনোর সর্বশেষ ছবি ওয়ান্স আপন আ টাইম ইন হলিউড দৈর্ঘ্যে নোলানের টেনেটের চেয়ে ১০ মিনিট লম্বা। আর সামনে যে বন্ড ফিল্ম আসছে—নো টাইম টু ডাই—তার দৈর্ঘ্য হবে ২ ঘণ্টা ৪৩ মিনিট।

শিল্প-সাহিত্যের অন্যান্য জনরায়ও দৈর্ঘ্যের বিষয়টি ক্রমেই অদ্ভুত চেহারা নিচ্ছে। হ্যারি পটারখ্যাত জেকে রাউলিং ক্রাইম ফিকশন লেখেন রবার্ট গ্যালব্রেইথ ছদ্মনামে। ছদ্মনামে তার সর্বশেষ উপন্যাস ট্রাবলড ব্লাড প্রকাশিত হয়েছে ১৫ সেপ্টেম্বর। উপন্যাসের পৃষ্ঠাসংখ্যা এ যুগে চমকে যাওয়ার মতো। ৯৪৪ পৃষ্ঠা! এটা রাউলিংয়ের লেখা সবচেয়ে দীর্ঘ উপন্যাস। হিলারি ম্যান্টেলের ক্রাইম নভেল দ্য মিরর অ্যান্ড দ্য লাইটের দৈর্ঘ্যও এমন। তাহলে কী হচ্ছে? আমরা তো এখন এমন যুগে বাস করছি যেখানে আমাদের মনোযোগের সময় টুকরো টুকরো হয়ে গেছে। আপনি বলতে পারেন আমরা তো এখন কেবল জিফ দেখার মানুষ, আমাদের মনোযোগের ক্ষমতা এখন জিফ দেখার মতো। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে আমরা দীর্ঘ কাজের জন্য অপেক্ষা করি এবং বুদ্ধিবৃত্তিক গভীরতার সঙ্গে লম্বা সময়ের ছবিকে সবাই প্রশংসা করছেন।

উত্তর দিন