স্টারলিংক স্যাটেলাইটের পাবলিক বেটা টেস্টিং শুরু করেছে স্পেসএক্স। এই পরীক্ষামূলক প্রোগ্রামের নাম ‘বেটার দেন নাথিং বেটা’।
গত জুনে জিপকোড ও ইমেইল অ্যাড্রেস দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে বলা হয়। রেজিস্টারর্ড ব্যবহারদেরকে ইমেইল দিয়ে বেটা টেস্টিং প্রোগ্রামে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে। এই প্রোগ্রামে অংশ নিতে ব্যবহারকারীর খরচ পড়বে ৬০০ ডলার। প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি যেমন টার্মিনাল, ট্রাইপড ও ওয়াইফাই রাউটারের জন্য ৪৯৯ ডলার আর সাবস্ক্রিপশন ফিয়ের জন্য ৯৯ ডলার ব্যয় করতে হবে। এছাড়া, আইওএস ও অ্যান্ড্রয়েড সংস্করণে স্টারলিঙ্কের অ্যাপও ছেড়েছে স্পেসএক্স।
বেটা টেস্টিংয়ের বিষয়টি কয়েকজন ব্যবহারকারী রেডিট ইউজার ফোরামে প্রকাশ করলেও নাম পরিচয় গোপন রেখেছেন। কারণ গণমাধ্যমে কিছু বলার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে স্পেসএক্স।
তারা জানান ইমেইলে বলা হয়েছে, আগামী কয়েক মাসের জন্য ইন্টারনেটের স্পিড হবে ৫০ থেকে ১৫০ মেগাবিটস পার সেকেন্ড, ল্যাটেন্সি হবে ২০ থেকে ৪০ মিলিসেকেন্ড।
পরবর্তীতে আরও স্যাটেলাইট পাঠানো হলে এবং আরও বেশি সংখ্যক গ্রাউন্ড স্টেশন সিগনাল রিসিভ করতে শুরু করলে ল্যাটেন্সি রেট কমবে এবং ডেটা স্পিড বাড়বে। ২০২১ সাল নাগাদ ল্যাটেন্সি রেট কমে দাঁড়াবে ১৬ মিলিসেকেন্ড থেকে ১৯ মিলিসেকেন্ড।
দ্রুত গতির ইন্টারনেট সেবা দিতে মহাকাশে স্টারলাইট স্যাটেলাইট স্থাপনের কাজ করছে স্পেসএক্স।
স্পেসএক্সের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও ইলন মাস্ক বিশ্বের প্রত্যন্ত অঞ্চলে জন্য দ্রুত গতির ইন্টারনেট সেবা নিশ্চিত করতে ১২ হাজার স্যাটেলাইট স্থাপনের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন।
এই লক্ষ্য বাস্তবায়নে প্রাথমিকভাবে ১২ হাজার স্যাটেলাইট স্থাপন করা হবে। তবে ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের (আইটিইউ) কাছ থেকে ইতোমধ্যে আরও ৩০ হাজার স্যাটেলাইট স্থাপনের অনুমতি চেয়েছে স্পেসএক্স।
স্টারলিংক স্যাটেলাইটগুলো আগামী বছরের মধ্যে কানাডা ও উত্তর আমেরিকায় দ্রুত ইন্টারনেট সেবা দেবে বলে জানিয়েছে স্পেসএক্স। পুরো বিশ্বকে দ্রুত গতির ইন্টারনেটের আওতায় আনতে ধাপে ধাপে স্যাটেলাইটগুলো মহাকাশে পাঠানো হচ্ছে।