বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের দ্বিবার্ষিক কাউন্সিল-২০২০, জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) মহাসচিব,মিজা ফখরুল ইসলাম আলমগীর,বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জামাতে ইসলামীর সেক্রেটারী জেনারেল মিয়া গোলাম পরোয়ার, বিএফইউজের সাবেক সভাপতি শওকত মাহমুদ,সাবেক মহাসচিব এম এ আজিজ, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি কামাল উদ্দিন সবুজ, ডিইউজের সাবেক সভাপতি কবি আব্দুল হাই শিকদার,ডিইউজের সভাপতি কাদের গনি চৌধুরী, ডিইউজের সাধারন সম্পাদক শহিদুল ইসলাম।
মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন সকল সাংবাদিক নিযাতন, হয়রানি বন্ধ করতে হবে গ্রেফতারকৃত সাংবাদিকদের মুক্তি চাই। রুহুল আমিন গাজী ও দৈনিক সংগ্রামের সম্পাদক আবুল আাসাদের মুক্তি দাবী করছি। গোটা দেশ আজ কারাগারে পরিণিত হয়েছে সরকার জনতার আন্দোলনকে সাড়া দিচ্ছেনা,মিডিয়ার স্বাধিনতা খর্ব করছে বাংলাদেশের রাষ্ট্র আজ জনগনের রাষ্ট্র নয়,এক দলীয় শাসন ব্যাবস্থা কায়েম করেছে। আরও বলেন সাংবাদিকরা ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে ঐক্যের ফাটল যাতে না ধরে ডিজিটাল সিকিউরিটি এক্টের বিরোদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। দেশনেত্রি বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় হয়রানি ও সাজা দেয়া হচ্ছে। সকল পেশার মানুষকে এক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে,গত বৃহষ্পতিবার সরকারী এজেন্সী দ্বারা বাস পুড়িয়ে পুরনো কায়দায় বিএনপির উপর দোষ চাপাচ্ছে।
মিয়া গোলাম পরোয়ার বলেন সাংবাদিকদের দুইটি চ্যালেন্জ মোকাবেলা করতে হবে এক
রাজনৈতিক চ্যালেন্জ, দুই.ডিজিটাল চ্যালেন্জ, ফ্যসিবাদী সরকারের জুলুম নির্যাতন হচ্ছে রাজনৈতিক চ্যালেন্জ, সোশ্যাল মিডিয়া নিয়ন্ত্রনহীন এটা ডিজিটাল চ্যালেন্জ সাংবাদিকরা ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে ডিজিটাল সিকিউরিটি এ্যক্টের নামে সাংবাদিকদের বাক স্বাধীনতা হরন করছে সরকার। বর্তমানে বাংলাদেশ ওয়াল্ড প্রেস ফ্রিডম ইনডেক্সে১৫০ তম এটা বাংলাদেশের সাংবাদিকতার মান নিন্মমান প্রকাশ করে। বেগম খালেদা জিয়া, বিশ্ববরেন্য মফাস্সির দেলোয়ার হোসাইন সাইদি এটিএম আজহার সহ সকল রাজনৈতিক নেতার মুক্তি দাবী করছি। অসুস্থ সাংবাদিক ও চাকরীচ্যুত সাংবাদিকদের জন্য কল্যান তহবিল গঠন করার প্রস্তাব দিচ্ছি, জাতীয় মুক্তি আন্দোলনের জন্য জতীয় মুক্তি মঞ্চ গঠন করে গনতন্ত্র পুনরুদ্ধার করা হবে। সাধারন সভার প্রথম অধিবেশন শেষে বেলা ২ টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত ভোট গ্রহন চলবে।