করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশে আরো ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। সেই সঙ্গে নতুন করে আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন ১ হাজার ৭৩৬ জন। দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে আজ সোমবার বিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে, আজ সকাল ৮টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত শনাক্ত ১ হাজার ৭৩৬ জনকে নিয়ে দেশে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ১০ হাজার ৯৮৮ জন। আর ২৫ জন মারা যাওয়ায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৯৬৬ জনে।
এছাড়া বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরো ১ হাজার ৯৬১ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এতে সুস্থ রোগীর মোট সংখ্যা বেড়ে ৩ লাখ ২৭ হাজার ৯০১ জন হয়েছে।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়ে গত ৮ মার্চ, তা ৪ লাখ পেরিয়ে যায় ২৬ অক্টোবর। এর মধ্যে গত ২ জুলাই ৪ হাজার ১৯ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ শনাক্ত।
প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ১০ অক্টোবর তা সাড়ে পাঁচ হাজারে দাঁড়ায়। এর মধ্যে ৩০ জুন এক দিনেই ৬৪ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ মৃত্যু।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আরো জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ১১৩টি ল্যাবে ১২ হাজার ৭৮৫ টি নমুনা সংগৃহীত হয়েছে, আগের দিনেরসহ পরীক্ষা করা হয়েছে ১২ হাজার ৮৯১টি নমুনা। এ পর্যন্ত মোট পরীক্ষা হয়েছে ২৩ লাখ ৬১ হাজার ৭০২টি নমুনা।
২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৪৭ শতাংশ, এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৭ দশমিক ৪০ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৭৯ দশমিক ৭৮ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৫ শতাংশ।
এদিকে জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাব অনুযায়ী, বিশ্বে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৪ কোটি ৬১ লাখ ছাড়িয়েছে, মৃত্যুর সংখ্যা পৌঁছেছে ১১ লাখ ৯৫ হাজারে। আর এ তালিকায় শনাক্তের দিক থেকে ২০তম স্থানে এবং মৃতের সংখ্যায় ৩১তম অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ।